সৈয়দ আলী আশরাফ (৩০ জানুয়ারি ১৯২৪ - ৭ আগস্ট ১৯৯৮)[১] ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামী পণ্ডিত এবং একাডেমিক। তিনি করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান এবং ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন এবং তিনি জ্ঞান ইসলামীকরণের মডেল তৈরী করেন,যা পরবর্তীতে ইসলামিক জীবনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮০ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায় বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের মহাপরিচালক হন। তিনি ক্যামব্রিজের ইসলামিক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালকও ছিলেন। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন।[২][৩]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]
সৈয়দ আলী আশরাফ বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স এবং পিএইচডি অর্জন করেন।[২]
পেশা
[সম্পাদনা]
তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। তিনি নিম্নলিখিত পদগুলিতে অধিষ্ঠিত ছিলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রভাষক ও পাঠক (১৯৪৯)[৪]
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান (১৯৫৪-৫৬)
পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক (১৯৫৬-৭৩)
বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, মক্কার ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক (১৯৭৪-৭৭)
জেদ্দায় বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (১৯৭৭-৮৪)
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (১৯৭১)
নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৪) এর পরিদর্শন অধ্যাপক[৩]
কর্ম
[সম্পাদনা]
তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক ছিলেন এবং বিভিন্ন বই এবং অনেক নিবন্ধ সম্পাদনার পাশাপাশি লিখালিখি করেছেন। [৫] তার লেখা কিছুর বইয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে:
ক্রাইসিস ইন মুসলিম এডুকেশন (মুসলিম শিক্ষায় সংকট), ১৯৭৯, লন্ডন: হজদার অ্যান্ড স্টাফটন (সৈয়দ আলী আশরাফ এবং সৈয়দ সাজ্জাদ হুসেন )
নিউ হরাইজনস ইন মুসলিম এডুকেশন (মুসলিম শিক্ষায় নতুন দিগন্ত), ১৯৮৫, লন্ডন: হডার এবং স্টাফটন